নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই: সীতার চেহারা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বৃন্দাবনের গল্পকার মহামণ্ডলের ইন্দ্রদেব মহারাজ। বৃন্দাবনের পরিক্রমা মার্গে অবস্থিত শ্রী রাধা কিশোরী ধামের বাসিন্দা হলেন এই মহামণ্ডলেশ্বর ইন্দ্রদেব মহারাজ। রামলীলায় মা সীতা এবং লর্ড রামের ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেতাদের সম্পর্কে মহারাজের একটি অত্যন্ত বিতর্কিত বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
মহামণ্ডলেশ্বর ইন্দ্রদেব তার গল্পের সময় বলেছিলেন যে, রামলীলায় রাম এবং সীতার চরিত্রে অভিনয় করা চরিত্ররা সিগারেট খায় এবং মদ্য পান করে। ইন্দ্রদেব এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি বলেন ‘গিয়ে ব্লাউজ খুলে দেখো, এ সীতা নয়, কুম্ভকর্ণ। আমরা সবাই দেখেছি’।” তার বক্তব্য অনুযায়ী অনেক সময় সীতার চরিত্রে যারা অভিনয় করেন, তারা সীতা নয় আসলে কুম্ভকর্ণ।
তার এই ধরনের কথা ধর্মীয় অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। দেবতাদের নামে এই ধরনের অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরে মহামণ্ডলেশ্বর ইন্দ্রদেব ক্ষমা চেয়েছিলেন।
ইন্দ্রদেবের গল্পের ভিডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। মানুষ ইন্দ্রদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দাবি করেছে। আত্মপক্ষ সমর্থনে ইন্দ্রদেব মহারাজ তার তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি তার শৈশবে যা দেখেছিলেন তা ব্যাস পীঠের লোকদের বলছিলেন। দেবতাদের অবমাননা বা কারও অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য তার ছিল না।
তবে ইন্দ্রদেব মহারাজের ক্ষমা চাওয়া নিয়ে কিছু ধর্মীয় সংগঠনের লোকেরা সন্তুষ্ট নয়, তারা মহামণ্ডলেশ্বরের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি তুলেছে।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি পণ্ডিত সঞ্জয় হরিয়ানা, ইন্দ্রদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে উর্ধতন পুলিশ সুপারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তবে মহারাজ এর আগেও মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। হরিয়ানার পাশাপাশি, অন্যান্য সংস্থাগুলির বক্তব্য, মহারাজ এর আগেও তার পায়ে সত্যিয়া এবং ধর্মীয় প্রতীক খোদাই করে ধর্মের অবমাননা করেছিলেন। এখন তিনি মা সীতা এবং লর্ড রামের প্রতিনিধিত্বের প্রতি অত্যন্ত অশালীন মন্তব্য করেছেন। এই ধরনের বক্তব্য ক্ষমার অযোগ্য, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।