সম্ভলের মসজিদ নাকি হরিহর মন্দির? ২৯ তারিখে জমা পড়বে সমীক্ষার রিপোর্ট

2 Min Read

উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে সম্বলের শাহি মসজিদের সমীক্ষা। আগামী ২৯ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেই খবর। রবিবার সকাল ৭.৩০ নাগাদ সার্ভে শুরু হয়, শেষ হয় আনুমানিক ১০ টার দিকে। পর্যাপ্ত ফটো ও ভিডিয়ো ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এদিন সমীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া,  পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরি এবং তহসিলদার রবি সোনকার-সহ অন্যান্যরা।



বলা বাহুল্য, রামমন্দিরের রাস্তা খুলতেই মথুরা-কাশী নিয়ে সুর চড়িয়েছিল গেরুয়া শিবির। রাখঢাক না  করেই দ্বার্থ্যহীন কণ্ঠে পদ্ম নেতারা বলেছিলেন, ইয়ে (অযোধ্যা) তো কেওয়াল ঝাঁকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায় (অযোধ্যা শুধু টিজার, মথুরা এবং কাশী এখনও বাকি) ।



তারপর থেকে একের পর এক টিজার দেখাতে শুরু করেছে পদ্মফুল। কখনও জ্ঞানভাপি নিয়ে মাতামাতি তো কখনও সম্বলের শাহি জামা মসজিদ নিয়ে। সম্বলের মসজিদ নাকি হরিহর মন্দির? উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সন্দেহে প্রলেপ দিতে সংশ্লিষ্ট মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার রায় দেয় শীর্ষ  আদালত। ইতিমধ্যেই এক দফার সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিন ছিল দ্বিতীয় দফার।



শাহী জামা মসজিদ সংক্রান্ত মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। তার দাবি, মসজিদ নয় অতীতে মন্দির ছিল সেটি। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে  এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন সমীক্ষা করতে গেলে জনতা-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। আহত ৩০ জনের মতো। ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।



তবে অতি সক্রিয়তার সঙ্গে পুলিশ সেই সংঘর্ষ দমন করে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির তা  জানতে দেহ ময়নাতদন্তে  পাঠানো হয়েছে। হাওয়া গরম হলেও সমীক্ষায় খামতি রাখেননি সংশ্লিষ্ট দলটি বলেই তাদের দাবি। এদিকে পুরো ঘটনায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামায়ত প্রধান শাহবুদ্দিন রিজভি স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহাবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সমীক্ষক দলকে কাজ করতে পূর্ণ সহযোগীতা করার আর্জিও করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Sign up for our Newsletter