দিদিকে বলো’তে ফোন, ‘বাংলার বাড়ি’ পেল ৭৩টি পরিবার

2 Min Read

আক্তারুল খাঁন, শ্যামপুর:দিদিকে বলো’তে ফোন করতেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ঘর পেল ৭৩টি পরিবার। ঘটনাটি হাওড়ার শ্যামপুরের-২ নম্বর ব্লকের ডিহি মণ্ডল ঘাট-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্যামপুর-২ নম্বর ব্লকের ডিহি মণ্ডল ঘাট-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাটি আর্থ-সামাজিকভাবে অনগ্রসর। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ইটভাঁটায় দিনমজুরের কাজ করেন। বহু মানুষজন সরকারি নিয়ম মেনে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করেছিল। পঞ্চায়েতের তরফে সেই আবেদনপত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বহুযোগ্য আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছে। বাংলার বাড়ি তালিকায় নাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন আজমিরা খাতুন, সেখ মুশারফ, রুকসোনা বিবিরা।
শেষমেষ ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করার পরামর্শ দেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুদীপ বেরা। তাঁর নির্দেশ মত সকলেই ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করেন। নবান্নের নির্দেশে সমীক্ষা করে ব্লক প্রশাসন। তাতেই ভাগ্যের শিখে ছেঁড়ে ৭৩টি হতদরিদ্র পরিবারের। ইতিমধ্যে বেশ কিছুজনের প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকতেই ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বড়দা বাড়ের বাসিন্দা তপন গড়াই, ডিহি মণ্ডল ঘাটের আজমিরা খাতুন, সেখ মুশারফরা বলেন, ‘টালির ঘরে কোনওরকমে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করি। ঘরের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তালিকায় আমাদের নাম ছিল না। দিদির নম্বরে ফোন করার পর মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ঘর দিয়েছে। দিদিকে অনেক ধন্যবাদ।’
এ বিষয়ে ™ঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুদীপ বেরা বলেন, ‘গরিব মানুষের কথা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে কতটা ভাবেন, সেটা আবারও প্রমাণিত হল। দিনমজুর পরিবারগুলি সরকারি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পাওয়ার যোগ্য, অথচ তাদের নাম ছিল না। তখনই তাদের ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করার পরামর্শ দিই। ‘দিদিকে বলো’-র নম্বরে ফোন করার পর তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছেন।’ উপপ্রধান আরও বলেন, ‘কেবল ওই ৭৩টি পরিবার নয়, শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এ রকম আরও ৩২১টি পরিবারের নাম উঠেছে নতুন তালিকায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Sign up for our Newsletter