‘নীচুজাত হয়ে বালতিতে হাত দিলি কেন’, দলিত বালককে মারধর করে খুনের হুমকি

2 Min Read

বাংলা সংবাদ: ডিজিটাল যুগে এখনও মানুষে মানুষে ভেদাভেদের গণ্ডি টেনে নিজেদের উঁচুতলায় বসিয়ে রেখেছে তথাকথিত উচ্চবিত্তরা। দলিতদের প্রতিনিয়ত উচ্চবিত্তের হাতে শারীরিক নিগ্রহ হওয়া কোনও নতুন বিষয় নয়। উচ্চবর্ণের গরিমায় গর্বিত হয়ে মানুষকে জুতো পেটা থেকে জুতো চাটানো, শারীরিক নিগ্রহ থেকে মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আক্রোশের প্রভাবে তাদের অনেক সময় একঘরে করে রাখা হয় গ্রামে। পুলিশে অভিযোগ হলেও, সেটি ওই ঘটনার ‘তদন্ত’ হচ্ছেতেই আটকে থাকে।



রাজস্থানে ফের দলিত বালককে হেনস্থা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। উচ্চবর্ণের এক ব্যক্তির বালতি ছুঁয়ে ফেলা ছিল তার অপরাধ। শারীরিক নির্যাতন করা হয় তাকে। রাজস্থানের আলেওয়ারের ঘটনা। স্কুলের নলকূপ থেকে জল ভরার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, উচ্চবর্ণের এক ব্যক্তির বালতি ছুঁয়ে ফেলে ৮ বছরের দলিত বালক। ছেলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে, বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। গত শনিবার আলেওয়ারে মঙ্গলেশপুর গ্রামে একটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। নিগৃহীত ৮ বছরের দলিত বালকের নাম চিরাগ। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সে। স্কুলে লাগানো টিউবওয়েল থেকে জল আনতে গিয়েছিল। চিরাগের বাবা পান্নালাল জানিয়েছেন, তার ছেলে চিরাগ জল ভরার সময় কোনওভাবে ভুলবশত তার হাত উচ্চবর্ণের রথীরাম ঠাকুরের বালতি স্পর্শ করে। এর পরেই রাগে উত্তেজিত হয়ে ঠাকুর, চিরাগকে প্রশ্ন করে কোন সাহসে সে তার বালতিতে হাত দিল? এর পরেই তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়।

ঠাকুর তাকে নীচুজাত বলে মারধর করে, এমনকি তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে ঘটনাটি সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষ জানান, এটি পুলিশের বিষয়। দলিত বালকের পরিবারের তরফে রামগড় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ একটি টিমও গঠন করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর একই রকম একটি ঘটনায়  জালোর জেলার একটি স্কুলে পাত্র স্পর্শ করার জন্য এক দলিত ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Sign up for our Newsletter