আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাত সকালেই বাজারে হানা দিল ♦টাস্ক ফোর্স♦। শুক্রবার সকালে পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ হানা দিল সল্টলেকের বিডি মার্কেটে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে আলু-পেঁয়াজের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই দেখা গেল টাস্ক ফোর্সের এই তৎপরতা। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং ♦উত্তর বিধান নগর থানার পুলিশকে♦ সঙ্গে নিয়ে বাজারে অভিযান চালায় তারা।
বাজারে গেলে দেখা যাচ্ছে, কোথাও আলুর দাম ৩২, কোথাও আবার ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। কেন এই ধরনের অসামঞ্জস্য দামের ক্ষেত্রে? তা নিয়ে বেজায় চটেছেন রবীন্দ্রনাথ কোলে। তিনি ধমক দিয়ে আলু বিক্রেতাদের বলেছেন, আলুর দম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, নাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি আর জ্যোতি আলুর দাম ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। কেন এত দাম? প্রশ্ন করায় এক ব্যবসায়ী বলেন, জোগান কম আছে। এ বছর চাষও হয়নি ভাল করে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নতুন পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা ও পুরনো পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা প্রতি কেজি।
আলুর দাম কেন বাড়ানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ♦মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়♦। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলার আলু বাংলার মানুষ খাওয়ার পর যদি বেশি থাকে, তবেই তা ভিনরাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্যে কত আলু আছে, সেই হিসেবও চান তিনি।
♦মুখ্যমন্ত্রীর♦ প্রতিক্রিয়ার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তৎপরতা। জেলাগুলিতেও নজরদারী চললেও বেশকিছু এলাকাতে দাম বৃদ্ধি রয়েছে। জেলাগুলিতে ফড়েরাজ অব্যহত রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও ফড়েদের রাজত্ব জারি রয়েছে। সেটা নব্ধ না করলে দাম কমবে না।