গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই লকেট জেতা সিটও হেরে গেল’। শনিবার পাণ্ডুয়ার সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গোষ্ঠীকোন্দল, বঙ্গ বিজেপির হাল নিয়ে হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
এদিন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে মিঠুনকে ডেকে দলীয় কর্মীরাও অভিযোগ জানান। বলেন, ‘দলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। বর্তমানে ১০ শতাংশ কর্মী সক্রিয় ভাবে কাজ করে’। যেখানে হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাত্র ৫১ হাজার সদস্য করতে পেরেছে জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে সক্রিয় সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়ে গিয়েছে। যেখানে সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ মাত্র ছিল ৩ হাজার। সেখানে সক্রিয় সদস্য পদ হয়েছে মাত্র ৩৬৩ জন। আর এই পরিসংখ্যান দেখে বেজায় চোটে যান মঠুন।
তিনি বলেন, বসের নির্দেশে এখানে এসেছিলাম। এখন বস (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) কে কি জবাব দেব? অগ্নিশর্মা হয়ে অভিনেতা আরও বলেন, আপনাদের মধ্যে যা জোশ দেখালাম, ভেবেছিলাম বড় কিছু করেছেন। কিন্তু হতাশ হলাম রিপোর্টে। আমি আসা মাত্রই মালা পড়ানোর ধুম লেগে গেল। এর আগেও দেখেছি। আমাকে ডেকে আনবেন, আমি মুড়ি গুড় খেয়ে প্রচার করব। তার রেজাল্ট হবে জেতা আসনে হার? কি লজ্জা! এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলোতেই জেতা আসন। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি । তার একটাই কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা খুবই দুঃখের। যদি সবাই কাজ করত এখানে তা হলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারতে হত না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বদ্ধ কাজ করেছে।