ভাঙড়: আইএসএফ প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, পুলিশকে ইট, পাল্টা পুলিশের লাঠিচার্জসহ ভাঙড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হল। সপ্তম তথা শেষ দফায় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাঙড়ে ভোট গ্রহণ করা হয় শনিবার (১ জুন ২০২৪)।
রাজনৈতিক মানচিত্র বহুল চর্চিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় যাদবপুর ও জয়নগর দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ১০ টি ও ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের ৩ টি অঞ্চল যাদবপুর সংসদীয় ক্ষেত্রের অধীনে। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের ৬ টি অঞ্চল জয়নগর সংসদীয় ক্ষেত্রের অধীনে।
গোটা ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার পর এই প্রথম ভোট হল ভাঙড়ে। ভাঙড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করা ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ। তবে সম্পূর্ন রুপে হিংসা এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ। ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভগবানপুর অঞ্চলের সাতুলিয়া গ্রামে শুক্রবার রাতভর বোমা পড় বলে অভিযোগ। ভোট সকালেও বোম পড়ার অভিযোগ ওঠে। শাসক দলের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীদের ইট ছোঁড়া এবং পাল্টা গ্রামবাসীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে।
ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের নলমুড়ি ও রানিগাছি গ্রাম এবং জাগুলগাছি অঞ্চলের ফুলবাড়ী গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ফুলবাড়ী গ্রামে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ফুলবাড়ী গ্রাম আসেন আইএসএফ প্রার্থী আইনজীবী নুর আলম খান। তাঁর গাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙা গাড়ি নিয়ে সোজা ভাঙড় থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এছাড়াও ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের হাতিশালা, পিঠাপুকুর, গানিরআইট, কচুয়া গ্রামেও শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ভোট দানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের মালঞ্চ পদ্মপুকুর, ঘটকপুকুর গ্রামে বিরোধীরা কাকে ভোট দিচ্ছেন তা বোঝার জন্য ভিভি প্যাডে আতর ও কালি লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
ভাঙড়ে ভোট সপ্তমির হিংসায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে সুখের খবর এটাই ভোট হিংসায় কারোও মৃত্যু হয়নি। বেশ কিছু গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের ছবিও ধরা পড়ে।