উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২৫ হাজার মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১৬,৫০০টি মাদ্রাসা সরকারি স্বীকৃত, যার মধ্যে ৫৬০টি মাদ্রাসা সরকার থেকে অনুদান পায়। এছাড়া রাজ্যে অস্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে সাড়ে আট হাজার। এই মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করতে বারংবার চেষ্টা চালিয়েছে যোগী সরকার। ইউপিতে মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ ‘ইউপি বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন এক্ট ২০০৪’-কে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই স্বস্তিতে উউত্তরপ্রদেশের ১৬ হাজার মাদ্রাসার ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “এই আইন বাতিল করার অধিকার হাইকোর্টের নেই। এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মাদ্রাসা। এটি প্রায় ১২৫ বছর পুরানো, মাদ্রাসাগুলি ১৯০৮ সাল থেকে নিবন্ধিত হচ্ছে।” একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট জানায়, “মাদ্রাসা আইনের বিধান বুঝতে হাইকোর্ট ভুল করেছে। এই আইন ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী বলে হাইকোর্টের বিশ্বাস ভুল।”
এদিকে, কেন্দ্র, ইউপি সরকার এবং ইউপি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৩১মে এর মধ্যে তাদের জবাব পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।