নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বৃহস্পতিবার তাঁর মনোনয়ন গ্রহণ করল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তারা জানায়, নওয়াজের প্রার্থিপদ নিয়ে কমিশনের কোনও সদস্য আপত্তি করেননি। ফলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন নওয়াজ। তিনি দু’টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নওয়াজের নির্বাচনে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক নওয়াজকে ভোট লড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠেছিল নওয়াজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুত্রের সংস্থা থেকে আয় করতেন নওয়াজ। কিন্তু তিনি নির্বাচনী হলফনামায় সে কথা গোপন করেন। ২০১৭ সালে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নওয়াজের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পরে দেশের বাইরে নির্বাসনে ছিলেন নওয়াজ। গত চার বছর তিনি লন্ডনে ছিলেন। চলতি বছর অক্টোবর মাসে তিনি দেশে ফেরেন। আদালতের নির্দেশ মতো আসন্ন নির্বাচনেও তাঁর প্রার্থী হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সে দেশের নির্বাচন কমিশন ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। দাদার প্রার্থিপদ নিশ্চিত হতেই ভাই শাহবাজ শরিফের দাবি, ভগবানের ইচ্ছা থাকলে চতুর্থ বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে নওয়াজ। তাঁর নেতৃত্বে আবার অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হবে পাকিস্তান।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। নওয়াজ পাকিস্তানের লাহোর এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মানসহরা শহর কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ৭৩ বছরের নওয়াজের বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। ওই মনোনয়ন গ্রহণের সিদ্ধান্তের পিছনে চক্রান্ত কাজ করেছে বলে দাবি তেহরিক-ই-ইনসাফের। তাদের বক্তব্য, এই নির্বাচনে ‘লন্ডন পরিকল্পনা’ কাজ করেছে।