ডেলি বাংলা সংবাদ: ভোটের আবহেও দল বদলের হিড়িক অব্যাহত। তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন হারিয়ে অস্বস্তিতে নয়াব সিং সাইনির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। এবার হরিয়ানাতে পদ্মের ‘হাত’ ছেড়ে ‘হাত’ ধরল তিনজন স্বতন্ত্র বিধায়ক। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। নির্বাচনী আবহেও জারি রয়েছে দলের-ভাঙন-গড়ন প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার রোহতকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সোম্বির সাঙ্গোয়ান, রণধীর গোল্লেন ও ধরমপাল গোন্দার-এই তিন নির্দল বিধায়ক জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। চলমান লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে সমর্থন জানাবেন। আচমকাই এই সিদ্ধান্তের কারণ কি? ঘটনারপ্রেক্ষিতে ধরমপাল গোন্দার জানান, দেশে কৃষকদের প্রতি অবিচারের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়া বিগত কয়েকদিনের বিজেপির বিদ্বেষভাষণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা এদিন তিন স্বতন্ত্র বিধায়ক’কে স্বাগত জানান। এদিকে নির্দল বিধায়করা সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিতেই কংগ্রেস হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। তাদের দাবি, ম্যাজিক ফিগার হারিয়েছে বিজেপি। অবিলম্বে পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে নয়াব সিং-কে বলেও দাবি জানান। দেশজুড়ে বিজেপি যা করছে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ আনে তারা।
এদিন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি উদয় ভান জানান, আগামী ২৫ মে রাজ্যে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষমতা দেখাবে।
এদিন তিনি আরও বলেন, ৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভার বর্তমান শক্তি ৮৮, যার মধ্যে বিজেপির ৪০ জন সদস্য রয়েছে। বিজেপি সরকার আগে জেজেপি বিধায়ক এবং নির্দল বিধায়কদের সমর্থন পেয়েছিল, কিন্তু জেজেপিও সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল এবং এখন নির্দলরাও চলে যাচ্ছেন। নয়াব সিং সাইনি সরকার এখন সংখ্যালঘু সরকার। সায়নীর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া উচিত, কারণ তাঁর এক মিনিটও থাকার অধিকার নেই।
পালটা প্রতিক্রিয়ায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব কিছু টাকার লোভ। এই নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন তুলে নেওয়া নিয়ে একটুও চিন্তিত নন তিনি। কিছু লোককে খুশি করছে কংগ্রেস। জনতার সঙ্গে যোগ নেই ওদের। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেয়ে অসন্তুষ্ট তিন বিধায়ক। সেই কারণেই শিবির বদল।