ডেলি বাংলা সংবাদ: উপনির্বাচনের ফলাফল সাধারণত শাসকের পক্ষেই থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও ঘটে। বাংলাতেও গত ১৫ বছরে একাধিক উপনির্বাচনের রায় গিয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গের সিতাই এবং দক্ষিণবঙ্গের হাড়োয়া— দুই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিল, বিরোধীরা নেই। বাম-বিজেপি কেউই নেই। দু’টি আসনেই কোনও বিরোধী প্রার্থী তাঁদের জামানত রাখতে পারলেন না। দু’টি আসনেই এক লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে উপনির্বাচনের ফলাফল পাশাপাশি রাখলে দেখা যাচ্ছে, ক্রমশ আরও কমছে বিজেপির জনসমর্থন।
হাড়োয়া অবশ্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসন। সেখানে বিজেপির বিশেষ কিছু করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু সিতাইয়ের ফলাফল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও। শুধু তা-ই নয়, কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ভূমিকা নিয়েও একান্ত আলোচনায় প্রশ্ন তুলছেন পদ্মশিবিরের নেতারা।
২০১৯ সালের লোকসভা থেকেই উত্তরবঙ্গ বিজেপির ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত হয়েছিল। ২০২১ সালের ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকেই ২৯টি বিধানসভা আসন জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও এই দুই আসনেই ‘সম্মানজনক’ জায়গায় ছিল পদ্মশিবির। কিন্তু উপনির্বাচনে ধুয়েমুছে গেল তারা। হাড়োয়ার থেকেও সিতাই এবং মাদারিহাটের হার এবং ব্যবধান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। কারণ, ভোটে এই ধসকে উত্তরবঙ্গের গড়ে ‘বিপর্যয়’ হিসাবেই দেখছেন পদ্মশিবিরের প্রথম সারির অনেক নেতা।